মাহমুদ খান, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা। তবে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনী মাঠ এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দখলে আছে। এ পদে কয়েকজন প্রার্থী তৎপর থাকলেও আওয়ামী লীগের পদপ্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে নিয়মিত গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
১৭ মে বুধবার আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে নগরের টুকেরবাজার, তালুকদার পাড়া, শাহপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকেন্দ্রিক সভা ও গণসংযোগ চালানো হয়।
পাশাপাশি জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান প্রতিদিনই একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কুশল বিনিময়ের আড়ালে ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চেয়েছেন।
নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী আগামী ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরণের প্রচারণা চালানো যাবে না।
এ বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। আচরণবিধি অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই তাদেরকে চিঠির মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারপর কেউ যদি না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনি তৎপরতা খুব একটা দেখা না গেলেও প্রতিদিনই তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখছেন।
এসব কর্মসূচিতে সিটি নির্বাচন নিয়ে আকাড়ে-ইঙ্গিতে কথাও বলছেন। তবে আরিফুল হকের ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আরিফুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিটি করপোরেশন (নির্বাচনি আচরণ) বিধিমালায় প্রতীক পাওয়ার আগে প্রচার শুরুতে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি কেউই তা মানছেন না। এমনকি প্রতীক ব্যবহার করেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। এটি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রত্যেক প্রার্থীরই এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনকেও এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করিনি। কোনো পোস্টার-লিফলেটও তৈরি করিনি। তবে আমার সমর্থনে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে লিফলেট-পোস্টার তৈরি করেছেন। যা ইতোপূর্বে আমার চোখে পড়েছে। এটি করা ঠিক হয়নি। আমি সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক করবো। আমাদের অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available