সজীব আহমেদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে দাখিল পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের কারণে অধ্যক্ষের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা।
আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ মো. ইউনুচ আলীর বিচার চেয়ে ১৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুর দুটায় মাদ্রাসার সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫৫ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, সারাদেশে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরিক্ষায় ৫৫ শিক্ষার্থী অংশ্রগ্রহণ করেন। গতকাল ১৭ মে কৃষি শিক্ষা (৪র্থ ) বিষয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন পরীক্ষার্থীরা। হল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র বিতরণ করে। পরীক্ষার্থীরা এ প্রশ্নপত্র দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। তারা পড়াশুনা করেছে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে আর প্রশ্ন দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের। এতে বিপাকে পড়ে যায় কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পড়াশুনা করা পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থী মো. সজিব মৃধা বলেন, ১৭ মে বুধবার কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা হলে এসে দেখি প্রশ্ন দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়। আমরা যে সাবজেক্টের নামই শুনিনি সেই বিষয়ে পরীক্ষা দেবো কিভাবে। মাদ্রাসার হুজুরদের জানালে তারা বলেছে অধ্যক্ষ স্যার ভুল করেছে। পরে আমাদের এই প্রশ্নেই পরিক্ষা দিতে অনুরোধ করা হয়।
পরীক্ষার্থী ফাতেমা, আয়শা, তাসনিম তানহা, আবিদা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষের ভুলের জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এ দায় কে নেবে? একটি নতুন বিষয়ে শুধু নাম লিখে পরীক্ষা দিয়ে এসে এখন অনেক টেনশনে আছি। দশ বছরের সাধনা একদিনে শেষ হয়ে গেছে। আমরা ভবিষ্যতে ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারবো না। আমাদের ভবিষ্যতের দায়ভার কে নেবে? আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইউনুচ আলীর মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
সহকারী কেন্দ্র সচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে । এখানে ভুল হয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের । এ ঘটনায় পরীক্ষা হল কমিটির কোন দায় নেই।
হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রসার উপ-অধ্যক্ষ মাওলানা ইউছুফ আলী বলেন, এটা আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমরা পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া করে করেছি, তারা ভাল ফলাফল করবে ইনশাল্লাহ।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মিলন বলেন, রেজিষ্টেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র অনুযায়ী প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, আমরা পরীক্ষার্থীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের অভিযোগটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বরগুনা জেলাপ্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available