বিপ্লব তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে খাগড়াছড়িতে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ১৭ মে বুধবার বিকেলে অভিযুক্তদের খাগড়াছড়ির গামারীঢালা এলাকায় তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ১৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আটকরা হলেন, আমেনা বেগম ও তার মা সেতারা বেগম এবং শামিমা আক্তার ও তার স্বামী ইসমাইল হোসেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
জানা যায়, সৎ মায়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১১ মে জেলার মাটিরাঙ্গার গৌরাঙ্গ পাড়ার বাসা থেকে পালিয়ে খাগড়াছড়ি চলে আসেন ভিকটিম বিলকিছ আক্তার। শহরের জিরোমাইল এলাকায় আসার পর একটি ঘরে কাজের খোঁজে গেলে সেখান এক নারী তাকে ৪০০০ টাকা বেতনে কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে তাকে খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নের গামারিতলা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারী মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করে।
এই সময় প্রায় ১০ জন তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকেলে এক বৃদ্ধ লোক ওই ঘরে গিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
পুলিশ জানায়, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে বুধবার বিকালেই সদর থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে রাতেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে ভিকটিম।
খাগড়াছড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা বলেন, ভিকটিম বিলকিছ আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় রাতেই সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ৪ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available