মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ফলে নৌপথে আজ শনিবার সকাল থেকেই লঞ্চযাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে অন্যান্য বারের মতো নেই কোনো ভোগান্তি। লঞ্চঘাটে এসে সহজেই টিকিট কেটে লঞ্চে উঠতে পারছেন তারা।
অন্যদিকে, যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চালু রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের চাপ কমে যাওয়ায় ফেরিঘাটেও কোনো ভোগান্তি নেই। স্বাভাবিকভাবেই পারাপার হচ্ছে বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবাহন।
২৯ মার্চ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে বাসযোগে পাটুরিয়ায় আসছেন যাত্রীরা। আগের মতো সড়কপথে দীর্ঘ যানজট না থাকায় কম সময়ে তারা লঞ্চঘাটে পৌঁছাতে পারছেন। লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা পূর্ণ হলেই লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও নেই অতীতের চিরচেনা যানজটের দৃশ্য। যানবাহনগুলো দ্রুত ফেরিতে উঠছে এবং পারাপার হচ্ছে। ঈদযাত্রায় এমন নির্বিঘ্ন পারাপারে সন্তুষ্ট ঘরমুখো মানুষ।
ফরিদপুরের যাত্রী কুদ্দুস খান জানান, “আগে পাটুরিয়া ফেরিঘাট মানেই ছিল দুর্ভোগ। কিন্তু এবার লঞ্চে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সহজে নদী পার হতে পারছি।”
পোশাককর্মী রাসেল মিয়া বলেন, “আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছি।”
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্নালাল নন্দি জানান, “ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন পারাপারে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। আজ সকালে যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও কোনো অতিরিক্ত চাপ নেই। প্রতিটি লঞ্চ নির্ধারিত যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে।”
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, “ঈদযাত্রায় ১১টি রো-রো, ২টি ইউটিলিটি, ১টি কে-টাইপ ও ৩টি ছোট ফেরিসহ মোট ১৭টি ফেরি চলছে। ফলে যানবাহন আসার পরই সহজেই পারাপার হচ্ছে।”
সবমিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নেই যানজট ও ভোগান্তি। যাত্রীরা স্বস্তিতেই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের পথে রওনা দিচ্ছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available