নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের করা মামলায় মুরাদনগরের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লালের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার পুলিশ তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ১১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মুমিনুল হক ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর সারাদেশের বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটলেও সেদিন থেকেই সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের নির্দেশে মুরাদনগর এবং বাঙ্গরা থানা ও পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী থানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাহারা ও পুলিশের খাবারের ব্যবস্থা করা বিএনপি নেতা বিল্লাল এখন পুলিশের মামলায় রিমান্ডে।
গত ২৪ মার্চ মুরাদনগরের কোম্পানিগঞ্জ সিএনজি স্টেন্ডে ওবায়েদ উল্লাহ সিরিয়ালের বাহিরে সিএনজি নিতে চাইলে সেখানে কর্মরত কেরানী এবং সিএনজি চালকরা বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সদর ইউনিয়নের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ সেক্রেটারি সাজিবসহ একদল তরুণদের ডেকে এনে সিএনজি চালকদের মারধর করে এবং পুলিশ ডেকে এনে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে থানায় নিয়ে যায় তারা। শ্রমিক নেতাকে মুক্ত করতে থানার সামনে বিক্ষোভ করে সিএনজি চালকরা। তবে থানার ভিতরে ওসির রুমের সামনে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে শ্রমিক নেতাকে টেনে ছিড়ে ফেলার হুমকি দেন ছাত্রলীগ সেক্রেটারি। চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ওসি এএসপি সেনাবাহিনীসহ বিএনপি নেতারা শালিসে বসেন। রাতভর শালিসে কোনো সমাধান না হলেও সকালে শালিসে বসা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয় পুলিশ ও সমন্বয়ক।
এদিকে, মামলা দায়েরের আগেই সিএনজি স্টেন্ডের কেরানি আবুল কালামসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদি আচরন এখনো পুলিশের মাঝে বিদ্যমান। পুলিশ এখনো কাল্পনিক মিথ্যা মামলা করছে আবার সে মামলায় রিমান্ড চায়। পুলিশ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এবং নব্য ফ্যাসিস্টদের যোগসাজশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে। নেতাকর্মীদের জামিনের বিরোধীতা করেছে আওয়ামী লীগের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের মনোনিত মুরাদনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ তমাল ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. তানভির আহমেদ ফয়সাল। আওয়ামী পুলিশের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে এ মামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এ আইনজীবীর।
আসামী পক্ষের আরেক আইনজীবি অ্যাড. নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান, মুরাদনগর থানার পুলিশ একটি কাল্পনিক ঘটনার অবতারণা আনিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপশক্তির অপব্যবহার করে একটি মিথ্যা মামলা রেকর্ড করেছে। ওই মামলায় মুরাদনগর থানার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল তথা সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মামলার আসামি করেন।
এদিকে, ব্রেইন স্ট্রোকের রোগি বিল্লালকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাড. মহসিন বলেন, আসামি বিল্লাল হোসেন অসুস্থ। তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার পর তার কোনো কিছু হলে পুলিশকে সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশ কর্তৃক মামলা দায়েরের আগে ও পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের নানানভাবে হয়রানি ও গ্রেফতার করছে। ঈদের আগে-পরে কুমিল্লা ও ঢাকা ডিবি পুলিশের হয়রানি চলছে বলে অভিযোগ মুরাদনগরের সাধারণ মানুষের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available