• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৯শে চৈত্র ১৪৩১ ভোর ০৫:১১:১৫ (13-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৯শে চৈত্র ১৪৩১ ভোর ০৫:১১:১৫ (13-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

বৈসাবি উৎসবে আনন্দে মুখর খাগড়াছড়ি

১১ এপ্রিল ২০২৫ দুপুর ০২:৩৬:৩৩

বৈসাবি উৎসবে আনন্দে মুখর খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়িদের প্রধানতম সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ শুরু হবে ১২ এপ্রিল থেকে। তার আগেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় চলছে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালিত হয়ে আসছে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে যথাক্রমে ‘বৈসু’, ‘সাংগ্রাই’ এবং ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে থাকেন। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

খাগড়াছড়িতে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’। ফুল বিঝুকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে নদীর পাড়গুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলনমেলায় পরিণত হবে।

পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হল্লা করে ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে নদী-খালে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে। এছাড়া ফুল দিয়ে ঘরের প্রতিটি দরজার মাঝখানে মালা গেঁথে সাজানো হয়।

শনিবার চাকমা সম্প্রদায় ফুল বিজু পালন করবেন। রোববার মূল বিজু আর পরেরদিন সোমবার পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবেন  এ সময় ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। একইসঙ্গে রোববার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু, বিযুমা ও বিচিকাতাল পার্বণ পালিত হবে ফুল বিজু, মূল বিজু ও বিচিকাতাল নামের নিজস্ব বৈশিষ্টে।

সোমবার খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী ‘জলকেলি’ অনুষ্ঠিত হবে ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালী।

এসব উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায় চেঙ্গী নদীতে চাকমা সম্প্রদায়ের সঙ্গে ফুল উৎসর্গে সামিল হবেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ। বৈসাবি উৎসব দেখতে আসেন অনেক পর্যটকও।

চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে।

বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালির মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরও সুদৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা সকলের। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ