পঞ্চগর প্রতিনিধি: জেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়িক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নতুন পঞ্চগড় গড়ার স্বপ্ন দিন দিন বাস্তবায়িত করছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। পঞ্চগড়ের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিচ্ছবি হিসাবে একটি বিনোদন পার্ক ছিল দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তা বাস্তবে পরিণত হলো। জেলার শহরতলীতে গড়ে ওঠেছে মীরগড় ইকোপার্ক।
শনিবার জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলীর আমন্ত্রণে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ইকোপার্কটি পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেরকে পার্কটি ঘুরিয়ে দেখান।
পার্কটি পরিদর্শন করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সদর উপজেলার ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের মীরগড় এলাকায় এই ইকোপার্কটি গড়ে উঠেছে। ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে গত মাসের শুরুর দিকে প্রায় ১২ একর খাস জমিতে এই পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। পার্কটি নির্মাণ করতে মোট ৩২ দিন সময় লাগে।
পার্ক পরিদর্শনের সময় জেলার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক নেতারা ।
এ সময় ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, মাত্র ৩২ দিনের মাথায় এরকম একটি ইকোপার্ক গড়ে তোলা নি:সন্দেহে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। রাজনীতির বিভিন্ন মতাদর্শ বা মতবাদ থাকতে পারে কিন্তু জেলার উন্নয়নে আমরা সকল রাজনৈতিক দল এক থাকবো।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, আমার বাড়ি যেহেতু এখানে তাই এই পার্কটির জন্য আমার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাকে অনেক দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি সাথে আছি।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন বলেন, জেলা প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। এই পার্কে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমরা জেলার সকল নেতৃবৃন্দ একসাথে এসেছি। এটাই আজকের শিরোনাম হতে পারে। জেলার উন্নয়নে আমরা সবসময় এক থাকবো।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, জেলায় দায়িত্ব নেয়ার পর এই অঞ্চলের ছাত্র, যুবক, সিনিয়র সিটিজেনসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলেছি। একটি ইকোপার্ক গড়ে তোলার দাবি ছিলো সবার। একদিন আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষদের সাথে কথা বলতে এসে এই যায়গাটি খোঁজে পাই। তারপর এখানে ইকোপার্ক স্থাপনের চিন্তাটা মাথায় আসে। কাজ শুরু করেছি। আপাতত: কিছুটা দাঁড়িয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে। ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ আর্কিটেকচার দিয়ে পার্কটির ডিজাইন করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিভ্রমণে এসে পার্কটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক রিজওয়ানা ইসলাম বলেন, সংগঠনের কাজ গতিশীল করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দুর্বার বাংলাদেশ’র সকল সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available