দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি: বাজার ইজারা নিয়ে ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।
১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে আতাতুর্ক স্কুল গেইটের পাশে গজারিয়া রোড, ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রি কলেজ রোড, বসুরহাট রোড, ফেনী রোড ও চৌমুহনী রোডে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলে। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
স্থানীয়রা জানান, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে চার মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং সদ্য বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কয়েকমাস যাবত।
সম্প্রতি দাগনভূঞা বাজারের ইজারা নেন আকবর হোসেনের এক অনুসারী। এ নিয়ে ১৪ এপ্রিল সোমবার ফটিক গ্রুপের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে মঙ্গলবারও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৩২ নেতাকর্মী। পরে একইদিন রাতে নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় গ্রেফতারকৃতদের মুচলেকা ছেড়ে দেওয়া হয়।
দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ইজারার ব্যাপারটি প্রশাসনিক বিষয়। সম্প্রতি আমাদের এক কর্মী বাজার ইজারা পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী টাকা তুলতে গেলে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বাধা দিয়ে তারা টাকা তুলবে বলে জানান। আজও আমাদের কিছু নেতাকর্মী বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় তারা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন আগে থেকেই বাজারে এসে মহড়া দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেই অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে তারা দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে। একপর্যায়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা চৌধুরী রিয়াদ, লিটন, রাসেল, রিয়াজ, রাজু ও হানিফসহ আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ বিষয়ে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেল) তছলিম উদ্দিন জানান, দাগনভূঞা বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। একই সময় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available