খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পাহাড়ি তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সচেতন ছাত্র সমাজ।
১৯ এপ্রিল শনিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ বিহারের সংলগ্ন থেকে ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের পানখাইয়া পাড়া রাস্তার মুখে আসলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় দাড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৫ই এপ্রিল মধ্যরাত ১২টার সময় রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার আম্রং (বড়ডলু পাড়া) এলাকায় কয়েকজন বাঙালি ছেলে এক মারমা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন সকালে লোকজন ঘটনাটি জানতে পারার আগেই ধর্ষকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কাউখালী থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু ঘটনার ৩দিন পার হলেও অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। প্রতিনিয়ত পাহাড়ি নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তার কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি, বরং ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। যার কারণে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা বেড়েই চলেছে পাহাড়ে।
সমাবেশে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় মারমা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা এবং প্রতিবাদে পুলিশের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক উক্যনু মারমা নেতৃত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ শিক্ষার্থী কবিতা চাকমা, চম্পা মারমা, নিংথোয়াই মারমা।
শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃদা জানান, নিরাপত্তার শঙ্কায় বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়া হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available