জহিরুল ইসলাম টিটু, লক্ষ্মীপুর জেলা (উত্তর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ হত্যা মামলার পলাতক ১ জনসহ ১২ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছে।
২২ মে সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
এদিকে মিরাজের পরিবারের প্রশ্ন- তাহলে মিরাজকে হত্যা করল কে?
পরিবারের দাবি, মিরাজ হত্যাকাণ্ডটিকে রাজনৈতিক হিসেবে দেখায় কারও বিচার হয়নি। এমন অবস্থায় বিচারব্যবস্থার প্রতি পরিবারের আস্থা ভঙ্গ হয়েছে বলে জানায় তারা। রায়ের পর হতাশ হয়ে পড়েছেন মিরাজের বাবা ও মামলার বাদী আবুল কালাম ও মিরাজের ছোট ভাই রিয়াজ হোসেন।
রিয়াজের দাবি, তার ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালীন তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে কখনও তাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হয়নি। আবার রায়ে সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমার ভাইকে হত্যা করল কে?
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী হত্যা মামলায় আসামিদের খালাসের ঘটনায় রায়পুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতা না থাকার কারণে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষী দিতে ভয় পেয়েছে। যার কারণে সত্যিকারের খুনিরাও বেঁচে গেছে। এ রায় হতাশাজনক। মিরাজ হত্যাকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।
বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই, উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, তানজিল হায়দার রিয়াজ, জাহাঙ্গীর, নুরে হেলাল মামুন, রিয়াজ, মোস্তফা কামাল, হারুন প্রকাশ ডাল হারুন, জহির সর্দার, রফিক উল্যাহ সোহাগ, রাকিব হোসেন প্রকাশ ওরফে রাজু, মুসলিম, মাসুদ ও সোহেল।
এর মধ্যে তানজিল হায়দার রিয়াজ শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। রায়ের সময়ও আদালতে উপস্থিত হননি। তবুও তিনি এই মামলা থেকে খালাস পেলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available