বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রায় এক সপ্তাহ সময়ের বেশী ধরে অমানবিকভাবে শিকল বন্দী এক কিশোরী। ঘরের বারান্দার গ্রিলের সাথে পায়ে শিকল লাগিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হয়েছে ওই কিশোরীকে।
প্রেমিক বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করতে যায় ওই কিশোরী। পরিবারের সদস্যরা রীতিমতো নিরুপায় হয়েই শিকলে বেঁধে রেখেছে ওই কিশোরীকে। মেয়েটির মা জীবিত নেই। ঘরে আছেন সৎ মা। বাবা প্রবাসে। পরিবারে পুরুষ সদস্য না থাকায় ওই কিশোরীকে নিয়ে সৎ মা ও বয়স্ক দাদি পড়েছে চরম বিপাকে।
আর এমন অমানবিক ও পাশবিক ঘটনাটির দেখা মিলেছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের দেওচান্দী গ্রামে।
মেয়েটিকে কেনো তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে এক প্রকার লোক লজ্জার ভয়ে আইনি প্রতিকার ও মিডিয়ার সামনে কথা বলতে অস্বস্তিবোধ করেন সৎ মা ও দাদি। সৎ মা ও দাদিকে জিজ্ঞেস করলে তারা ক্ষোভের সুরে পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ছেলের সাথে মেয়েটির সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। আত্মহত্যা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই মেয়েটিকে শিকল বন্ধী করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
দুজনের প্রেমের সম্পর্ক, এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক ও পরিশেষে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় আত্মহত্যার মতো অমানবিক সিদ্ধান্তের কথা জানান অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই কিশোরী।
মেয়েটির দাবি, পার্শ্ববর্তী সরিষাপুর গ্রামের মৃত এমরানের ছেলে হাইমুলের সাথে দীর্ঘ চার বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। অথচ প্রেমিক হাইমুল এখন তাকে বিয়ে করতে রাজি নন।
এ বিষয়ে জানতে হাইমুলের বাড়িতে গেলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার চাচা ইউপি সদস্য বাবলুকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন ঘটনাটি শুনেছেন তিনি। ভাতিজার সাথে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। তবে বিয়েতে রাজী নয় ভাতিজা হাইমুল এমনটিও জানান তিনি।
এলাকায় দুজনের প্রেমের ঘটনা প্রায় সবাই জানেন। মেয়েটিকে শিকলে বাঁধায় সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সৎ মাকে। অসহায় মেয়েটির শিকল খুলে দিয়ে ঘটনাটির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি স্থানীয়দের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available