কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার হোমনায় যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার আসামি মুকবল হোসেন পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য।
২৪ মে বুধবার মুকবল ও হক সাব নামে দুই জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। হোমনা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য ও রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে ‘পাঠান বাহিনী’র লোকজন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এরই জেরে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন জহিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জহিরের বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় জেলা পরিষদ সদস্য মুকবলকে অন্যতম আসামি করা হয়। বর্তমানে আদালতে ওই মামলাসহ ১১টি মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে। জহির হত্যাসহ কয়েকটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য ২৩ মে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর বাজারে নিহত জহিরের বাবা রেণু মিয়ার চায়ের দোকানে হামলা চালায় পাঠান বাহিনী।
রেণু মিয়া বলেন, ‘জহির হত্যার মামলা তুলে নিতে মুকবল পাঠানের নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোকজন আমার দোকানে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে। আমার এক ছেলেকে হত্যা করেছে। এখন আরেক ছেলে খায়েরকেও হত্যা করতে চায়। মামলা না তুললে যেকোনও সময় আমাকে বা আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করার কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে।’
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মুকবল পাঠান ও হক সাব নামে দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। মুকবলের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীপাচারসহ ১১টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available