কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বিয়ের প্রলোভনে এক যুবতীকে ৩ বছরধরে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের পন্তাবাড়ী এলাকায়।
অভিযোগে জানা যায়, ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত হযরত আলীর ছেলে জাকারিয়া ইসলামের (৩২) সাথে পার্শ্ববর্তী এক যুবতীর ৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় ওই যুবক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। সম্পতি ঐ অভিযুক্ত জাকারিয়া আলম ভুক্তভোগী যুবতিকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করে। পরে ঐ যুবতিরও অন্যত্র বিয়ে হলে তাদের দুজনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যুবতীর স্বামী তাদের এ অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি জানতে পেরে যুবতীকে তালাক দেয়। এ সুযোগে জাকারিয়া ঐ যুকতীকে আবারো অনৈতিক মেলামেশার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে রাজি না হওয়ায় পূর্বে তাদের মেলামেশার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে জাকারিয়া ও তার বন্ধুরা ঐ যুবতীর কাছে টাকা দাবি করে এবং ধর্ষনের হুমাকি দিতে থাকে। এতে রাজি না হওয়ায় জাকারিয়া ঐ যুবতীর একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ও অশ্লীল কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ২৯ মে সোমবার নাগেশ্বরী থানায় জাকারিয়া হোসেন ও তার বন্ধু শফিকুল ইসলাম (২৫) কে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই যুবতী।
ভুক্তভোগী যুবতী এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, আমার সাথে এতদিন সম্পর্ক করে আমাকে সে ব্যবহার করেছে, জাকারিয়ার আরও বন্ধুদেরকে দিয়েও আমার সাথে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমাকে তারা বাজারের মেয়ের মতো বানাতে চাচ্ছে। আমার কী সম্মান নাই? আমি এ জন্য ২৯ মে সোমবার সকাল ১১ টায় থানায় গিয়ে ওসি স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়ে এসেছি। পরে থানা থেকে ২ জন পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ ঘটনায় কথা বলতে জাকারিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় কথা হয় তার বড় ভাই আব্দুল মোতালেব সাথে। তিনি বলেন, জাকারিয়া বাড়িতে নেই, এক আত্মীয়ের বাড়ি লালমনিরহাটে গেছে। এ ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে সঠিক জানা নেই। আমি সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনসহ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা শুনব কী হয়েছে। এসময় জাকারিয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মুকুল বলেন, এই মেয়ের এর আগে ২ বার বিয়ে হয়েছে। ঐ ছেলেও বিয়ে করেছে, তার সংসার আছে। এর মধ্যে একটা ঝামেলা করে বসছে, বুঝতেই পারছেন। দেখি উভয়কে নিয়ে বসে সামাজিকভাবে কোন সমাধান দেয়া যায় কিনা।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available