এশিয়ান রেডিও
এশিয়ান রেডিও
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়ির গেটে অবস্থান নিয়েছেন এক কিশোরী । তার নাম তামান্না খাতুন (১৬)। সে যশোর মনিরামপুরের টুনিয়াঘরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে। ২ জুন শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরী কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামে স্বামী মামুন হোসেনের বাড়ির গেটে অবস্থান করছেন। মামুন হোসেন আড়পাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
তামান্না খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত ২ বছর আগে মনিরামপুরে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত ১৩ মাস আগে তারা দুজনেই বাড়ি থেকে বিয়ের উদ্দেশ্যে কালীগঞ্জ চলে আসেন । এরপর বিয়ে করে কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে দাদার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মামুন।
বিয়ের কোন কাগজপত্র তার কাছে নেই। সব দিক হারিয়ে এতিম মেয়েটি এখন কোন উপায় না পেয়ে কালীগঞ্জে তার স্বামীর বাড়িতে আসেন। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি শশুর বাড়ির লোকজন।
তিনি আরও জানান পাঁচ বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর মা অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। বাবাকে হারিয়ে তিন ভাই বোনের জায়গা হয় দাদার বাড়িতে। ছোট দুই ভাই এতিমখানায় থেকে লেখাপড়া করে, সে নিজেও মাদ্রাসায় করিয়ানা পড়তো। কিন্তু বিয়ে করার পর সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন স্বামীর বাড়ি ছাড়া আর কোথাও
তার থাকার জায়গা নেই । অন্যথায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। এজন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মামুনের প্রতিবেশী আব্দুস সালাম জানায়, শুনেছি মামুন অনেক আগেই বিয়ে করেছে। সে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় থাকতো। স্ত্রীর সাথে তার কি হয়েছে তা আমরা জানিনা, তবে সে এখন গ্রামে নিজের বাসায় থাকে।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। এসময় ডাকাডাকি করেও মামুনের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
House-60, Block-A, Road-1, Gulshan 1, Niketon, Dhaka, Bangladesh.
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available