মোঃ জহিরুল ইসলাম খান লিটন, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার সাভারে নিষিদ্ধ প্রেমে বিচ্ছেদ চাওয়ায় এক নারীকে মারধর ও জখমের অভিযোগ উঠেছে তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৩ জুন শনিবার বিকেলে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী নারী কনিকা আক্তার। এর আগে গত ২৬ মে ওই ভুক্তভোগী নারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আশুলিয়া থানায় আরও একটি জিডি করেছিলেন।
নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব আসলাম (৩২) আশুলিয়ার গোকুলনগর এলাকার বাসিন্দা। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্থানীয় প্রতিনিধি। অন্যদিকে ভুক্তভোগী কনিকা আক্তার (৩৭) আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ২ বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর রেস্তোরাঁয় যাতায়াতের সুবাদে সাকিব নামে ওই যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে সখ্যতা, এবং একসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারী বিবাহিত এবং তার সন্তান থাকার পরেও সাকিবের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী জানতে পারেন প্রেমিক সাকিবেরও স্ত্রী আছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি সাকিবের সাথে প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ চান এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাকিব ভুক্তভোগী ও তার ভাইকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এর মধ্যে ওই নারী অসুস্থ হয়ে ৩০ মে আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে ২ জুন প্রেমিক সাকিব ওই নারীকে হাসপাতালে দেখতে যান। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কেবিনের দরজা বন্ধ করে সাকিব ওই নারীকে উপর্যুপরি মারধর করে জখম করেন।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে সাকিবের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কথা হয় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকিরের সাথে। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী আগেও একটি জিডি করেছিলেন। সেটি তদন্তের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের জিডির নির্দেশনা এলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া আজও একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available