মোঃ ফজলুল হক, পাবনা প্রতিনিধি: এক সময় কুচিয়া মাছ সংগ্রহ করে সচ্ছলভাবে দিন পার করতেন অনেক কুচিয়া মাছ শিকারী। চায়না দোয়ারীসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকারের ফলে এখন বিপাকে পড়েছেন তারা। দেশের বাইরে ব্যপক চাহিদা থাকলেও স্থানীয় বাজারে আশানুরুপ দাম না পেয়ে পেশা বদল করছেন অনেকেই।
পাবনা জেলার চলনবিল, ভাদুর বিল, শুতের বিল, গাজনার বিল, পচাগারী বিল, রুহুল বিল, চতরার বিলসহ বিভিন্ন বিলঅঞ্চল থেকে কুচিয়া মাছ শিকার করেন শিকারীরা। পরে এসব মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন আতাইকুলার কুচিয়ামোড়া বাজারে। সেখানথেকে আরৎদারদের হাত ঘুরে কুচিয়া মাছ প্যাকেটজাত হয়ে রপ্তানি করা হয় বিদেশে।
এ বিষয়ে কুচিয়া মাছ শিকারী শ্রী অর্মীত্র ও মৃদুল জানান, সকালে বের হয়ে বিভিন্ন বিল ,পুকুর ও খালে বরশি দিয়ে কুচিয়া মাছ শিকার করি। বিলে সবচেয়ে বেশি কুচিয়া পাওয়া যায় তবে চায়না জালের জন্য এখন খুব একটা কুচিয়া পাওয়া যায় না। বর্তমান বাজারে কুচিয়া মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দিনে আমাদের ২০০-৩০০ টাকা আয় হয়, আবার কোনদিন মাছ না পেলে খালি হাতেই বাড়ি ফিড়তে হয়। অভিমান করে কুচিয়া শিকারী মৃদুল বলেন, এখন সব জিনিসের দাম বেশি আমাদের চলাই দায়।
অনেকেই এখন কুচিয়া মাছ ধরা বাদ দিয়ে মাঠে কাজ করছেন বা ভ্যান গাড়ি চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় কুচিয়া মোড়া বাজারের আড়ৎদার মো. মুঞ্জুরুল হকের সাথে। তিনি বলেন, খাল-বিল থেকে শিকারীরা কুচিয়া ধরে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। আমার তাদের কাছ থেকে এগুলো কিনে রাখি এবং পরিমানে বেশি হলে প্যাকেট করে ঢাকায় পাঠাই । সেখান থেকে বড় মহাজনেরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠায়। শুনেছি বিদেশে নাকি এ মাছের অনেক চাহিদা। বিদেশে ভালো দাম হলেও আমরা কিন্তু সেরকম দাম পাই না। সরকার এ ব্যপারে সহযেগিতা করলে আমরা লাভবান হতে পারতাম ।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানের কুচিয়া মাছ শিকারের সাথে জড়িত খুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আর চায়না জাল আমাদের দেশে নিষদ্ধ, আমরা প্রায়ই এ জাল বন্ধে অভিযান পরিচালনা করি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available