পলাশবাড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: মধু মাসে আমরা কি খাচ্ছি, ফল নাকি বিষ? চৈত্র-জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মধু মাস। এ মাসে থেকে শুরু হয় ফল পাকা। বাজারে আসে হরেক রকমের ফল যেমন-আম,কাঁঠাল, লিচু, আনারস,কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন জাতের ফলফলাদি। মধু মাসে আমরা কী খাচ্ছি,মধু না বিষ এ প্রশ্ন এখন সবার মনে। গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা শহরসহ আশ পাশের হাটবাজার গুলোতে ছেয়ে গেছে বিষ মেশানো ফল।
ফল সংরক্ষণ ও পাকানোর জন্য অতিমাত্রায় কীটনাশক ও ক্যামিকেল ব্যবহার করছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিকর বিষ মেশানোর কারণে ফলগুলো তার স্বাভাবিক উজ্জল রং হারিয়ে ফেলছে। ক্রেতারা বাজারে ফল কিনতে গিয়ে পড়েছেন বিভ্রান্তিতে।
ফল ক্রেতা আ.কুদ্দুছ বলেন,সাড়ে তিনশ টাকায় একশো লিচু কিনে বাসায় নিয়ে গিয়েছিলাম। লিচুগুলি দেখতে ভাল হলেও খাওয়ার অনুপযোগি। লিচুর খোসা ছড়ানোর পর দেখা যায় প্রতি লিচুর মুখ পচা, যা খাওয়ার অনুপযোগি।
সোলায়মান আলী বলেন, চার কেজি আম কিনে ছিলামবাড়িতে নিয়ে দেখি প্রতিটার ভিতরে নষ্ট। অথচ বাহির থেকে দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই। এ বিষযুক্ত ফল খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ভোক্তাধিকার আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।
পলাশবাড়ি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাহাত আল ইমরান বলেন, ফরমালিন কিংবা কেমিক্যালমিশ্রিত ফলে নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফরমালডিহাইডের সংস্পর্শে মানবদেহের নাক,ফুসফুস,গলায় ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। ফরমালডিহাইড নিজে ক্যান্সার উৎপন্ন করে অথবা এই প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টিতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। বেশি মাত্রায় ফরমালিন শরীরে ঢুকলে কোষের প্রতি উপকরণের সঙ্গেই তা বিক্রিয়া করার ক্ষমতা রাখে। এর ফলে কোষ তথা প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বাজার থেকে ফল কিনার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বাজার থেকে ফল কিনে বাসায় এনে তার বিষমুক্ত করতে করতে হবে। বাজারি ফল ২০- ৩০মিনিট পর্যন্ত ভিনেগার বা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, এরপর খেতে পারেন।
এ বিষয়ে ভোক্তাধিকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি সচেতন মহলের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available