শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৭ জুন বুধবার দুপুর ২ টায় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ রায় দেন।
মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের নাম বাবু চৌকিদার (২৫)। সে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের তাজুল চৌকিদারের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের আজগর আলী খানের ছেলে জুয়েল খান (১৯), মৃত বাচ্চু সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (২২) ও চর ভয়রা গ্রামের বাদশাহ মিয়া সরদারের ছেলে তানভীর হোসেন শামীম (২২)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডামুড্যা উপজেলার কুলকুড়ি গ্রামের ওই কিশোরী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে বাড়ির পাশের খালে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৩ অক্টোবর ডামুড্যা থানায় নিহত কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, আমরা তাতে খুশি। আমরা চাই এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। রায় দ্রুত কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আর প্রত্যেক ধর্ষণের ঘটনায় এরকম রায় হলে আমাদের সমাজে ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে।
তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তানভীর আহমেদ শামীমের মা বলেন, আমার ছেলে স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো, সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, এ রায়ে আসলে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পায়নি। আমরা এ মামলার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি, আমরা সঠিক বিচার পাবো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, এর আগে আসামিরা আদালতে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে নিজেদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পর্যবেক্ষণ শেষে আজ এ রায় দিয়েছেন এবং আমরা রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। এ রকম যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ হলে ধর্ষণের মতো ঘটনা কমে আসবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available