কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে প্রবাসীর বিরুদ্ধে পিতাকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার কালাই উপজেলায় কাশিপুরহাল গ্রামে একরামুল হকের বিরুদ্ধে ৭ জুন মঙ্গলবার তার পিতাকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারপিটে আহত হয়ে পিতা ওসমান গণির এখন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় একরামুল হকের মা জাহানারা বেগম ৮ জুন বৃহস্পতিবার কালাই প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আহত ওসমান গণির ছোট ভাই সাহেব আলি, তার দুই ছেলে রুহুল আমিন ও মুমিনুর রহমান, মেয়ে গুলনাহার ও ছেলের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার ।
সংবাদ সম্মেলনে জাহানারা বেগমের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান তার বড় ছেলে রুহুল আমিন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অভিযুক্ত একরামুল হক দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। ২০০০ সালে তার পিতা ওসমান গণি নিজের ৯৮ শতাংশ জমি ৩ ছেলের নামে সমান ভাগে দানপত্র দলিল করে দেন। এ খবর প্রবাসী ছেলে একরামুলের কানে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। এদিকে দেশে থাকা অন্য ২ ছেলে তাদের প্রাপ্ত জমিতে আলাদা করে ঘড় নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে। ইতোমধ্যে একরামুল হক চলতি বছরের ১৫ ই এপ্রিল দেশে ফেরেন। দেশে ফিরেই বাবা ওসমান গণি কেন তার সম্পত্তি ৩ ছেলেকে সমান ভাগে দলিল করে দিয়েছেন তা নিয়ে জেরা শুরু করেন একরামুল। এ নিয়ে বাবা-মার সাথে তার ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। কয়েকদিন পূর্বেও এ কারনে গ্রামে শালিস হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, গত ৭ জুন দুপুরে বৃদ্ধ ওসমান গণি কালাই সাব রেজিস্টার অফিসে যান। খবর পেয়ে একরামুল তার শশুর বাড়ির ৪/৫ জনকে নিয়ে কালাই সাব. রেজিস্টার অফিস চত্বরে বাবা ওসমান গণিকে মারপিট করে। এ সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বৃদ্ধ ওসমান গণিকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ দিকে একরামুলের ভয়ে মা জাহানারা রাতে অন্যের বাড়ীতে লুকিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে জাহানারা বেগম তার অন্য ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে লুকিয়ে হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে বের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে রাস্তায় একরামুলের বাঁধারমুখে পরেন। পরে তারা কালাই থানায় গিয়ে একরামুলসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
একরামুল তার মা ও দুই ভাইকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন জাহানারা বেগম ও তার দুই ছেলে।
অভিযোগের ব্যপারে একরামুল হক বলেন, এটি আমাদের পারিবারিক বিষয়। আমাদের মাঝে কি ঘটেছে তা নিয়ে কোনো আলাপ নেই। আপনাদের যা বলেছে তা লিখতে পারেন। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available