টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সোর্স সন্দেহে আমির হোসেন নামে এক যুবককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের বাঁধারমুখে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বামহাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে যায় সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারীদের একটি দল।
৫ জুন সোমবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির নয়াপাড়ার বটতলী এলাকার পশ্চিম পাশে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে । সন্ত্রাসীরা একের পর এক ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
৮জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার সময় ভূক্তভোগী পরিবার নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী আমির হোসেন জানায়, গত সোমবার নিজের মাছের ঘের থেকে প্রতিবেশি নুরুর বাড়ি যাওয়ার সময় কালুর দোকানের সামনে পৌঁছলে স্থানীয় শীর্ষ মাদক কারবারী সিরাজের নেতৃত্বে দা, কিরিচ ও লাঠিসোটা নিয়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী আমাকে পথরোধ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
এ মতাবস্থায় ভূক্তভোগী আমির হোসেন বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে আসায় সন্ত্রাসীরা আমির হোসেনের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বামহাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনো তিনি আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে । চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হওয়ার পথে।
ভূক্তভোগী আমিরের ছোট ভাই জাহেদ হোসেন বলেন, হোয়াইক্যং ইউপির বটতলী এলাকার ত্রাস শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ সিরিম্মিয়ার নেতৃত্বে খালেক প্রকাশ সালামত উল্লাহ, ইসহাক, শাহ নেওয়াজসহ ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তার বড় ভাই আমির হোসেনকে র্যাবের সোর্স সন্দেহে অপহরণ করে। তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ভূক্তভোগী আমিরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে ভূক্তভোগী আমিরের পরিবার একেরপর এক হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাহেদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারী। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে। মাদকের টাকার গরমে তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। সন্ত্রাসীদের অনবরত হুমকিতে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমাদের মাদক দিয়ে প্রশাসনের কাছে তুলে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা। এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জাহেদ হোসেন।
হোয়াইক্যং মংসজীবী সমিটির ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বলেন, ঘটনার সময় এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে বিষয়টি জানালেন। আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সিরাজ বাহিনীর সদস্যরা আমির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করছে। তখন আরও কয়েক জন জড়াও হলে সন্ত্রাসীরা আমিরকে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি আব্দুল হালিম বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available