মো. বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে ‘শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে । ১৪ জুন বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সভাকক্ষে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। সংলাপটি আয়োজন করে ইয়েস বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
জেলা পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীরা শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিয়য়ে আলোচনা হয় এ সংলাপ অনুষ্ঠানে। এছাড়া প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তৃণমূলে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যে বিষয়ে সাংবাদিকদের ভুমিকা নিয়েও সংলাপে আলোচনা করা হয়।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সাথীর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম। সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা অনিমেষ কান্তি হাওলাদার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈশাখী টেলিভিশনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি আব্দুস সালাম আরিফ।
অপরাজেয় বাংলাদেশ ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ওয়াই মুভস প্রকল্পের মাধ্যমে আয়োজিত সংলাপে বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি কেএম শাহাদাত হোসেন, এটিএন নিউজ, এটিএন বাংলা ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, এশিয়ান টেলিভিশন ও বনিক বার্তার বাদল হোসেন, আনন্দ টিভির নাজিম উদ্দীন, ঢাকা পোস্টের মাহমুদ হাসান রায়হান, মর্নিং অবজারভারের কাইয়ুম উদ্দিন জুয়েল, দৈনিক বাংলাদেশের আলোর এম নিয়াজ মোর্শেদ, দৈনিক ভোরের আকাশের জলিলুর রহমান, দৈনিক ঢাকার ডাকের রফিকুল ইসলাম, খবর সংযোগের জহিরুল ইসলাম, দৈনিক আলোকিত সকালের আলিম খান আকাশ, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের রাজিব হোসেন সুজন, আজকের বিজনেস বাংলাদেশের হাসিবুর রহমান, দৈনিক গণমুক্তির জাকির হোসেন, দৈনিক এই বাংলার গোপাল হালদার রাহুল ও দৈনিক সাথীর বিশেষ প্রতিনিধি তাসনীম বিনতে মনির সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।
জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, শিশুদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অভিভাবকরা উদাসিন থাকে। একইবাবে বাল্যবিবাহের ব্যাপারেও তারা উদাসিন। জেলায় প্রতিবছড় কত সংখ্যক বাল্যবিবাহ হচ্ছে তার সঠিক কোন পরেসংখ্যান নেই কারো কাছে। প্রতিবছড় কতজন শিশু স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ছে তার কোন হিসাব কেউ রাখছে না। শিশু শ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও এ ব্যাপারে শ্রম অধিদফতরকে আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই এসব তথ্যের ঘাটতির কারনে যে কোন প্রতিবেদন তৈরি করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
গণমাধ্যমকর্মীরা আরও বলেন, শুধু তাই নয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন কমিটি থাকলেও সেগুলোর দৃশ্যমান কার্যকারিতা চোখে পরে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এসব সংকটে সম্মিলিতভাবে কাজ না করলে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
এসব সংকট আলোচনার পাশাপাশি এই দিকগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির অঙ্গীকার করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available