নীলফামারী প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৫৮ শতাংশ জমিতে থাকা প্রায় ১ হাজার ফলজ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ১৬ জুন শুক্রবার ভোর ৫ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর শরৎপাড়ায় এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মজিবর রহমান বলেন, আমি প্রতিবেশী সামসুল আলম শাহের স্ত্রী এবং ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শিউলি বেগমের কাছ থেকে বাড়ির পাশেই ৮৫ শতাংশ জমি কিনেছি। পরে ঐ জমিতে কলার চাষ করি। ইতোমধ্যে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বেশিরভার গাছেই কলা ধরেছিলো। আর ১ মাস গেলেই আমি ফলন তুলতে পারতাম। অন্তত আমার ৩ লাখ টাকা লাভ হতো। কিন্তু তারা আমার ক্ষেত ধ্বংষ করে দিয়েছে। আমাদের কাছে জমি বিক্রি করলেও এখন আবার তা দখলের পায়তারা করছে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে জমিতে না যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তারা এ নির্দেশনা অমান্য করে আমাদের কলাবাগান কেটে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার বিচার ও ক্ষতিপূরন দাবি করছি।
অভিযুক্ত সামসুল আলম অকপটে স্বীকার করে বলেন, কলাগাছ আমরাই কেটেছি। জমির যে অংশের কলাগাছ কাটা হয়েছে তার মালিক আমার ছেলে। আমি যে জিমি বিক্রি করেছি তাতে আমার বোনদের অংশ আছে। সম্প্রতি আমার ছেলে তার ফুফুদের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ কিনেছে। এখন সে তার জমির মালিকানা বুঝে নিচ্ছে, এখানে আমার কিছু করার নেই। ক্রেতার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সামসুল বলেন, জমি আদালত থেকে বুঝে নেবে অথবা চাইলে আমার কাছ থেকে টাকা ফেরত নিতে পারে। এখানে আমার কিছু করার নেই।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই পক্ষের জন্যই ১৪৪ ধারা জারি আছে। অথচ ২ দিন আগে মজিবর কলাগাছের পরিচর্যা করে সেই নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে। তখন পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ আসেনি। তাই আমরাও নিষেধাজ্ঞা মানিনা।
এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available