আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: আখাউড়ার ৫৪ জন হজযাত্রীর ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও রাজধানীর শ্যামপুর এলাকার এস এন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (১১৩৬) হজ এজেন্সি মালিক প্রতারক শাহ আলম। বহু খোঁজাখুজি করেও প্রতারক শাহ আলমকে পাওয়া যাচ্ছে না।
১৭ জুন শনিবার বিকেলে আখাউড়ায় উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে নতুন হাজীদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আখাউড়া হজ কাফেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব মো. শাজাহান ।
শাহজাহান বলেন আমি বিগত ১২ বছর এস এন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এ কাজ করে আসছি বিগত দিনের ন্যায় এ বছর কাজ করতে ছিলাম শুরুর দিকে প্রাক নিবন্ধন করার পর মূল নিবন্ধন এবং পর্যায়ক্রমে সবটুকু টাকা জমা করি। প্রথমে ৩০ হাজার টাকা পর্যায়ক্রমে ৫৪ জন হাজির ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা জমা করি।
টাকা জমা দেওয়ার পর সে(শাহ আলম) প্রথম ফ্লাইট ডেইট দিয়েছিল জুন মাসের ১০ তারিখ, ফ্লাইট ডেইট কাছাকাছি আসার পরে সে বলছে ১০ তারিখে ফ্লাইট হবেনা কারণ সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া সমস্যার কারণে ফ্লাইট ২০ তারিখে হয়ে যাবে।
পরে আমি ফোন দিয়ে পাসপোর্ট,ভিসা,ফ্লাইট টিকেট চাওয়ার পর শাহ আলম বলেছেন যে আমি সময় মত সবকিছু পেয়ে যাব পরে আমার সন্দেহ হলে আমি ঢাকা অফিসে যাই কিন্তু যাওয়ার পরে তাকে আর অফিসে পাওয়া যায়নি।
ফোনে অনেক ট্রাই করেছি অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পায়নি।তখন বুঝতে পারলাম সে দেশে নাই। অথবা কোথাও আত্মগোপন করেছে ।
আমি টাকার চিন্তায় হতভম্ব হয়ে গেলাম হতাশ হয়ে গেলাম কি করব!তারপর আমি চিন্তা করলাম টাকা তো আমাকে দিয়েছে আমার ইজ্জত রক্ষার্থে হাজী গুলো আল্লাহর ঘরে যাবে ওই চিন্তা করলাম আমার বাড়ি ভিটা বিক্রি করে হলেও তাদের হজে নিবো।
ঠিক আমি ঐ মুহূর্তে ওই কাজই করলাম বাড়ি বিক্রি করে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে আমার ভাই বন্ধু সাহায্য করেছে আত্মীয়-স্বজন সাহায্য করেছে আপাতত আমি পকেট থেকে এক কোটি টাকা দিয়েছি আরোও ৫০ লক্ষ টাকা লাগবে, এছাড়াও অতিরিক্ত এক থেকে দেড় কোটি টাকা খরচা সার্ভিস দিতে গিয়ে লাগবে।
আমি হিম্মত করেছি হাজি রা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আল্লাহ তাআলার রহম বৃহস্পতিবারে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার সুবাদে ভিসা হয়ে গেছে টিকিট হয়ে গেছে আগামী সোমবার ১৯ তারিখ বিকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ফ্লাইট হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে আমি মামলার দিকে দৌড়ায়নি যদি মামলার দিকে সময় দিতাম তাহলে হাজীদের হজে নিতে পারতাম না আমার সময় ছিল না হাতে এই সময়টুকু আমি টাকা জোগাড় করে ব্যয় করেছি আমাদের আশ্বস্ত করেছে হাব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রণালয় এবং হাবের শরণাপন্ন হওয়ার পরে তারা বলে হাজীদের হজে নিয়ে যেতে সব ধরনের সাহায্য করবে আর্থিক করতে পারবে না এছাড়া সব ধরনের সাহায্য করবে।
হাজীদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আসাদ আল হাবিবি, আখাউড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী বিল্লাল আহমেদ প্রমুখ।
এসময় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আখাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ কবীর নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাজীদের জন্য দান করেন এবং সাথী আক্তার দশ হাজার টাকা হাজীদের কল্যাণে দান করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available