বীরগঞ্জ (দিনাজপুর ) প্রতিনিধি : ঈদ-উল-আযাহায় প্রতিবছড় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেশী গরুর চাহিদা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এ বছরও কোরবানির ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা গরু লালনপালন করছে। বাড়তি লাভের আশার খামারিরা শেষ মুহুর্তের ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর গরু লালনপালনের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ইঞ্জেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করছেন খামারিরা।
সরেজমিনে দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার পলাশবাড়ী ২ নং ইউনিয়নের ঝলঝুলি গরুর ফার্মে ১০৬ টি গরু মোটাতাজাকরণের জন্য পালন করা হচ্ছে। খামারি বলেন আমি ২০ টি গরু পালনের মাধ্যমে শুরু করেছিলাম, এখন গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদফতর সঠিক সময়ে সিঠিক পরামর্শ দেয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। আশা করি এবারের কুরবানীর ঈদে গরুর ভালো দাম পাবো।
উপজেলার পৌরসভা এলাকার খামারি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমি বহুদিন ধরে খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার খামারে ১০ টি গরু ছিল। এর মধ্যে ৬ টি গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করি সবগুলো গরুই ভালো দামে বিক্রি হবে। আমি সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজ করছি। গরুকে ঘাস, খড়, খৈল ও ভুসি খাওয়াচ্ছি। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়াতে বর্তমানে গরু পালনে লাভ আগের চেয়ে কমে গেছে। তবে এবারের ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।
বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওসমান গনি শিশির বলেন, এবার ঈদুল আযহা উপলক্ষে বীরগঞ্জে ২৫ হাজার ৬০৮৬ টি গরু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়িতে একটি করে পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলার খামারিদেরকে নিয়মিতভাবে আমরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available