আসাদ গাজী, ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে নড়িয়াতে তালাবদ্ধ বাসায় নিজের মাকে (নারগিস বেগম) গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বড় ছেলে জাহিদ হাসান (২৫)।
২১ জুন বুধবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহির কুশিয়া গ্রামের ও ঘড়িষার বাজারের হাজী জালালউদ্দিন মার্কেটের তৃতীয় তলায় সেলিম মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারগিছ বেগম (৩৮) ঘড়িষার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ঘড়িষার বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাঝির স্ত্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি জব্দ করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঘরিসার বাজারের জালালউদ্দিন মার্কেট নিচতলা থেকে জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। জাহিদ পুলিশের কাছে তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকালে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে জাহিদের বাবা ও মা বাড়িতে আসে। পরে জাহিদের মাকে ও জাহিদকে বাড়িতে একা রেখে বাবা সেলিম মাঝি দোকানে চলে যায়। এর পর সন্ধায় সেলিম মাঝি ও শাহিন মাঝি এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে। পরে দরজা না খুলায় দরজাটি ভেঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে নারগিছকে । আর পাশেই পড়ে ছিল হাতের দুটি আঙ্গুল। আর ছেলে জাহিদ বডি দা হাতে নিয়ে ভয়ংকরভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।
আরও জানা গেছে, পরে আশপাশের লোকজনের সাহায্য তাকে আটক করে বেঁধে রাখা হয়। পরে ঘড়িষার বাজারে বেসকারি একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নড়িয়া থানার ওসি এসে স্থানীয়দের হাত থেকে স্পেশালভাবে অতিরিক্ত পুলিশ এনে হত্যাকারী জাহিদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের স্বামী সেলিম মাঝি বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী নারগিছ বেগম একটি বিবাহের দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে আসি। পরে আমার কুলঙ্গার বড় ছেলে জাহিদ ও তার মা নারগিছকে ঘরে রেখে যাই। কিন্তু সন্ধার সময় আমার ভাই শাহিন মাঝিকে নিয়ে বাড়ি গিয়ে দেখি আমার ঘরের দরজা বন্ধ। পরে ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙ্গে ফেলি। দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার বউ নারগিছকে জাহিদ বডি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে রেখেছে।
তিনি আরও জানান, তখন আমার স্ত্রী নারগিছ মেঝেতে পড়ে ছিল। পরে বাজারের লোকজন ডেকে খুনি জাহিদকে আটক করি। আমার বউকে হাসপাতালে নিয়েও বাঁচাতে পারিনি। আমার ছেলে জাহিদের মাথায় সমস্যা আছে। আমি কি করবো ? আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। আমি ওর ফাঁসি চাই।
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জাহিদকে আটক করেছে পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available