কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদরাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় জনতার হাতে মাদরাসার অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হয়েছেন।
২১ জুন বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিক্ষোভের সময় ওই শিক্ষক মাদারাসায় ছিলেন না। বিষয়টি মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাষক আরিফুর রহমান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লার শ্যালক। আরিফ ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
গত ৮ জুন ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা মাদরাসার অধ্যক্ষকে বিষয়টি অবগত করে প্রতিকার চান। অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিষয়টি সমাধানের লক্ষে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকার লোকজন নিয়ে মাদরাসার অফিসে এক বৈঠকে বসেন। কিন্তু অভিযুক্ত প্রভাষক আরিফুর রহমানকে ছুটির নামে কৌশলে এলাকা থেকে সরিয়ে রাখা হয়। এতে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মহিউদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শিউলী রহমান তিন্নী বলেন, ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে যা ঘটেছে এ বিষয়ে ছাত্রীর পরিবার অধ্যক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কমিটির লোকজনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।
দেবীদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার বলেন, এলাকার লোকজন মাদরাসা ঘেরাও করলে থানা থেকে বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর তারা ফিরে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available