কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জের জলাশয়ে ক্ষতিকর সাকার মাছ নির্মূলে করণীয় বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ জুন বুধবার দুপুরে উপজেলার সম্মেলন কক্ষে সাকার মাছ নির্মূলকরণে করণীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগ মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম রেজাউল করিম।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা ঢাকার ময়লা আবর্জনা গর্ভে ধারণ করে খরস্রোতা এই নদীর পানি এখন বিষাক্ত। এবার বুড়িগঙ্গায় বাসা বেঁধেছে এক রাক্ষুসে মাছ, যার জন্য হুমকির মুখে দেশের মৎস্য সম্পদ। মাছটির নাম ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিস’। তবে দেশে পরিচিত ‘সাকার মাছ’ নামে। অ্যাকুরিয়ামে চাষযোগ্য বিদেশি প্রজাতির এই ক্ষতিকর মাছটি প্রায়ই এখন দেখা মিলছে বুড়িগঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদী, হাওর ও জলাশয়ে। তিনি বলেন, সাকার মাউথ মাছ আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা এখনো জানা যায়নি। তবে এ মাছ নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা চলছে। এই মাছ খাওয়ার যোগ্য না। কিন্তু খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে। আবার সহজে মরেও না। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই মাছ এ্যাকুরিয়ামের শোভা বর্ধনের জন্যই আনা হয়েছিল এই দেশে। কিন্তু এখন সেটা আর এ্যাকুরিয়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। প্রায়ই দেখা মিলছে জেলেদের জালে।
ইউএনও মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম বলেন, যেহেতু অন্য কোনো মাছ নদীতে বাঁচতে পারে না, বিশেষ করে ঢাকার ৪ নদীতে। সেক্ষেত্রে এই মাছগুলো যেহেতু অক্সিজেন ছাড়া অনেক সময় বেঁচে থাকতে পারে, তাই এরা সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্টে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকে, এটাই বাস্তবতা। আমাদের প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের সঙ্গে যে দেশীয় মাছগুলো আছে সেগুলোর জন্য এটি খারাপ।
ইউএনও বলেন, সাকার মাছ জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ ও মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাই এই মাছ জালে ধরা পড়লে, ফের নদীতে না ফেলার পরামর্শ তাঁর।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রানা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিএম মোস্তফা কামাল, কেরানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রকৌশলী কাজী মাহমুদউল্লাহ প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available