শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লায় পাহাড়ী ঢলের স্রোতে মাসহ ভেসে যাওয়া দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর একজনের মরদেহ ছায়ার হাওরে ভেসে উঠেছে। ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি সীমানার হুনাকান্দা নামক স্থানে মরদেহটি ভেসে উঠে।
ভেসে উঠা ওই শিশুর নাম জবা রাণী দাস (৭)। সে রথীন্দ্র দাস ও দুর্লভ রানী দাসের কন্যা।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি ওই এলাকার লোকজনের চোখে পড়ে। তারা খালিয়াজুড়ি থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ রথীন্দ্র দাসকে সঙ্গে নিয়ে শিশু জবার মরদেহটি শনাক্ত করে।
নিখোঁজ হওয়া শিশু জবার বাবা রথীন্দ্র দাস জানান, মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হলেও শিশু বিজয় দাসের (৫) মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল একদিন উদ্ধারের কাজ করেছে। পরে আমার দুই শিশুর মরদেহ না পেয়ে উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আজ ঘটনার তিনদিন পর আমার মেয়ের মরদেহ ছায়ার হাওরে ভেসে উঠেছে। এখন ছেলের মরদেহটি দেখতে পারব কি না জানি না বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
এ বিষয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ আমিনুল ইসলাম জানান, ছায়ার হাওরের খালিয়াজুড়ি সীমানা থেকে জবা রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছেলে বিজয় দাসের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ১৯ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় শাল্লা ব্রিজ সংলগ্ন বাহাড়া রোড থেকে ব্রিজে উঠার সময় পাকা সড়কে স্রোতের টানে দাঁড়াইন নদীতে ডুবে যায় দুর্লভ রানী দাস ও তার মেয়ে জবা রানী দাস এবং ছেলে বিজয় চন্দ্র দাস। মঙ্গলবার দুর্লভ রানী দাসের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও পুলিশ। কিন্তু সন্ধান পায়নি দুই সন্তানের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available