ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেস ক্লাব হলরুমে হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচার দাবিতে এ সংবাদ সস্মেলন করেন তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরনবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা ১৪টি বসতঘরে হামলা, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এক সময় স্থানীয়রা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তার পালিয়ে যায়। পরে বিকেলে আবার সন্ত্রাসীরা লোকবল বাড়িয়ে ১০টি মাইক্রোবাস ও ৭০-৮০টি মোটরসাইকেলে ২০০ থেকে ২৫০ জন এসে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়িঘর ভাঙচুর ও দোকান লুটপাট করে। সন্ত্রাসীদের দু’দফা হামলায় ১৫-২০জন আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হোসেন চেয়ারম্যান, তজুমউদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ইউসুফ সিকদারসহ নির্যাতনের শিকার এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
তবে হান্নানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের। তিনি জানান, হান্নানের লোকজন অতর্কিত হামলা ও গুলি চালিয়ে ওই ইউনিয়নের দুই মেম্বারসহ সাতজনকে আহত করেছেন।
এ দিকে এই হামলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী বিবিএস ক্যাবল ও নাহী গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য বিদেশ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে নেতা কর্মীদের এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আমি যেন ঈদ করতে এলাকায় আসতে না পারি এক রকম হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি।
তজুমদ্দিন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, পুলিশের উপস্থিতে হামলা হয়েছে এমনটি সত্য নয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available