গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদরে পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এই দুই হত্যাকাণ্ডে জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা চরপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জার মিয়ার ছেলে ইউনুস মিয়া ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জলের মোড় গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী লুতফা বেগম (৬০)।
জানা গেছে, ইউনুস মিয়ার সঙ্গে আপন বড়ভাই রফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ৩০ জুন শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইউনুস মিয়ার সাথে বড়ভাই রফিকুল ইসলামের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রফিকুল ইসলামের ছেলে মোতালেব, লতিফ, মোনারুল ইউনুস মিয়াকে একা পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন ইউনুস মিয়া। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ১ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে একইদিন সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জলের মোড়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে লুতফা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। ১ জুলাই শনিবার বিকেলে জলের মোড় এলাকার নিজ বাটির উঠানে বৃদ্ধা লুতফা বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রতিপক্ষের লোকজন শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহত লুতফার স্বামী মোহাম্মদ আলী দিনাজপুরে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
এই দুই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইউনুস মিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অপর ঘটনায় কারা বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করলো, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।
একদিনে দুই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ দুই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুতই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available