কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তালোড়া-বাইগুনী পীরপুকুর আবাসনের দক্ষিণ পাশে পরিত্যক্ত সরকারি প্রায় ৯ শতাংশ খাস জমি দখল করে বসতবাড়ী নির্মাণ করছেন মোঃ আজিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ঐ আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী হলেও কোনরকম সরকারি অনুমতি না নিয়েই পার্শ্ববর্তী সরকারি খাস জমিতে সিমানা প্রাচীর দিয়ে ইতোমধ্যে দখল করে ফেলেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বাড়ির নির্মান কাজ বন্ধ করলেও আজিজুল ইসলাম কৌশলে নির্মানকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের তালোড়া-বাইগুনী গ্রামের পীরপুকুর আবাসন প্রকল্পে মৃত: সমসের আলী প্রধানের ছেলে আজিজুল ইসলামের (৫৫) একটি বসতবাড়ী রয়েছে। সে বাড়ীর দক্ষিণ পাশে পরিত্যক্ত (বাইগুনী মৌজার সাবেক ১৭০ দাগ) ৯ শতাংশ সরকারি খাস জমি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করে নিজ দখলে নিয়েছে। গত ২ মাস আগে হটাৎ করে ইট,বালু,সিমেন্ট এনে সরকারি ঐ জমিতে বাড়ির নির্মান কাজ শুরু করেন আজিজুল ইসলাম। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা উদয়পুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে বাড়ির নির্মানকাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে আজিজুল ইসলাম আবারও অবৈধভাবে বাড়ির কাজ শুরু করেছেন।
এ ঘটনায় কথা হয় তালোড়া-বাইগুনী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের সাথে। তিনি জানান, পরিত্যাক্ত সরকারি জমিতে জোরপূর্বক ইটের স্থায়ী বসতবাড়ী নির্মাণ করছেন আজিজুল ইসলাম। গ্রামের অনেকে তাকে নিষেধ করলেও সে শোনেননি। পরে এ ঘটনা ইউএনওকে জানানো হলে ইউএনও লোক পাঠিয়ে বাড়ি নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর ইন্দনে আজিজুল ইসলাম আবার বাড়ির নির্মান কাজ শুরু করেছেন।
উদয়পুর ইউপি সদস্য ও ওই গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ইউএনও অফিস থেকে লোকজন এসে কাজ বন্ধ করে গেছে। পরে কাজ আবার চালু হয়েছে কি না তা আমার সঠিক জানা নেই। আজিজুল কার ক্ষমতায় সরকারি জমিতে বসতবাড়ী নির্মাণ করছেন তা আমার বোধগম্য না।
কথা হয় অভিযুক্ত আজিজুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই এ জায়গাটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার ছেলে-মেয়ে বড় হয়েছে, আবাসন প্রকল্পে যে ঘর আছে তাতে যায়গা সংকুলান হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এ জায়গায় বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছি। যখন কাজ শুরু করেছি তখন তো কেউ কিছু বলেনি, এখন বাড়ির কাজ মাঝ পথে এখন সবাই বাধা দিচ্ছে। আসলে আমার ভুলই হয়েছে, যেহেতু সরকারি জমি তাই আমার অনুমতি নেয়া উচিত ছিলো। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন, এ বিষয়ে অভিযাগ পাওয়ার পরপরই লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। যদি আবার কাজ চালু করে তাহলে খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available