চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মা-ছেলে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর আবদুল্লাহ আল শাহেদ ও তার মা ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা।
জানা যায়, সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে মায়ের প্ররোচনায় ১৫ বছরের কিশোর মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার পৌর এলাকার পাঁচরা গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়শা আক্তার নিপা ও তার ছেলে আলী হাসান মুজাহিদকে ধারালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় গৃহবধুর বাবা বুধবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে ফাতেমা বেগমের বড় ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) ও পরে মাদ্রাসা থেকে তার পনের বছরের কিশোর ছেলেকে আটক করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, আটক কিশোর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিপা ও মুজাহিদকে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
স্বীকারোক্তিতে কিশোর পুলিশের কাছে বলেন, সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে চাচা জেঠাদের সাথে তাদের ঝগড়া বিবাদ হতো। বিষয়গুলো নিয়ে মা ফাতেমা বেগম তার কাছে কান্নাকাটি করতো। এতে করে তার ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই মঙ্গলবার রাতে ঘুমন্ত চাচি ও চাচাতো ভাইকে হত্যা করে তিনি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মায়ের প্ররোচনা এবং সম্পৃক্তা থাকতে পারে এই জন্যই তাকে বুধবার রাতে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেষতলা গ্রামে বাবার বাড়ির থেকে ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় জানাযার নামাজ শেষে মা ও ছেলে পাঁচরা গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বুধবার রাতে ডুবাই থেকে দেশে আসেন গৃহবধুর স্বামী আনোয়ার হোসেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, হত্যার সাথে যারা জড়িত আছে তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available