লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনকে এ ঘটনার তদন্তে দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ। ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিতে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। ঐ তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ জুলাই রোববার সকাল ৯ টায় উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের তিস্তা নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শফিকুল ইসলাম (৫০) ও ফজলুর রহমান (৫৫)। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন- আহেদুল ইসলাম (৪০), তারা ৩ জনই দিনমজুর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘাট ইজারাদারের অবহেলা, ছোট নৌকা, অতিরিক্ত যাত্রী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মাঝি নৌকাডুবির মূল কারণ। তারা এ ঘটনায় ইজারাদার ও মাঝিকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় তদন্ত করে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তারা।
সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, রোববার সকালে ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক একটি ডিঙি নৌকায় কাজের উদ্দেশ্যে তিস্তা নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মাঝ নদীতে প্রবল স্রোতের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকেই সাতরে তীরে উঠতে পারলেও পানিতে ডুবে যায় ৩ জন। পরে নিহত পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ২০ হাজার করে টাকা সহায়তা করা হয়।
এ ঘটনায় হাতীবান্ধা ফায়ার স্টেশন অফিসার মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ডুবুরি দল বাকি ১ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, এ ঘটনায় ঘাট ইজারাদারের কোনো অবহেলা আছে কি না তা তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে বোঝা যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available