গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: গুরুদাসপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে উত্যাক্তের শিকার হয়েছে ৭ স্কুল ছাত্রী। ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর বাজারের পাশে এ উত্যাক্তের ঘটনা ঘটে। পরে উত্যাক্তকারী ৫ বখাটেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন খুবজিপুর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের খুবজিপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রীকে উত্যক্ত করে পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের ৫ বখাটে। এ সময় স্থানীয়রা তদের আটক করে বিদ্যালয় কতৃক্ষের কাছ হস্থান্তর করে। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের মাঠের মধ্যে দড়ি দিয়ে বেধে রাখলে স্থানীয়রা তাদের উত্তম-মধ্যম দেয়। এ সময় পুলিশে খবর দেয়া হলে বিকেল চারটায় পুলিশ এসে ৫ উত্যক্তকারীকে থানায় নিয়ে যায়।
উত্যক্তের শিকার ছাত্রীরা জানায়, স্কুল ছুটির পর দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে খুবজিপুর-বিলশা সড়কে বজিপুর বাজার ব্রীজের পাশে ৭ ছাত্রীর পথ রোধ করে উত্যক্তকারীরা। এ সময় বখাটেরা ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং অসভ্যতা করে। পরে ছাত্রীদের প্রতিবাদে স্থানীয়রা এসে বখাটেদের আটক করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে হস্থান্তর করে। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের আটকের পর মাঠের ভেতর দড়ি দিয়ে বেধে রাখে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের কিল-ঘুষি দেয়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে বখাটেদেদের স্বজনরা।
পুলিশ জানায়, উত্যাক্তের অভিযোগ পেয়ে খুবজিপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫ বখাটেকে আটক করে থানায় আনা হয়। আটকরা হলেন, সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের নিখিল চন্দ্র কর্মকারের ছেলে শ্রী অন্তর কর্মকার (১৮), একই গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে আজিজুল হাকিম সাজু (১৭), মো. বকুল হোসেনের ছেলে আমিনুর ইসলাম (১৫), মো. রঞ্জু মন্ডলের ছেলে মেহেদী ইসলাম রাকিবুল (১৬) ও মো. রজব আলী মন্ডলের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২০)। এদের মধ্যে রাকিব হোসেন ভ্যানচালক। বখাটেরা রাকিব হোসেনের ভ্যানযোগে গুরুদাসপুরের বিলশায় বেড়াতে এসেছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আজাদ জানান, তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্যাক্ত করার কারণে স্থানীয়রা বখাটেদের আটক করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে। বখাটেদের বিদ্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিলো, তাদের বেঁধে রাখার খবরটি সঠিক নয়। পরে ৫ বখাটেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, উত্যাক্তের শিকার ছাত্রীদের মধ্যে এক ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটকদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available