কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ জুলাই সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মালিয়াট গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলো- নিহত ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম, তার মেয়ে উম্মে সুমাইয়া ইয়াসমিন মিতু ও মেয়ের প্রেমিক পাচকাহুনিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাজ্জাত হোসেন চয়ন।
পুলিশ জানায়, গত ১২ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে গলাকেটে হত্যা করা হয় মালিয়াট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে। কিন্তু ঘটনার দিন ইউপি সদস্য স্ট্রোক করে শোকেজের গ্লাসের উপর পড়ে গলা কেটে মারা যান বলে প্রচার করেন হত্যাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার দিন তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম জানায়, শোকেজের গ্লাসের উপর পড়ে গিয়ে গলা কেটে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু এলাকায় ইউপি সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন আলোচনা।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, এর আগে ইউপি সদস্যের মেয়ের মিতুর বিয়ে হয়েছিল। কিছুদিন সংসার করার পর তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর তার মেয়ে উম্মে সুমাইয়া ইয়াসমিন মিতু পাশের গ্রাম পাচকাহুনিয়া গ্রামের সাজ্জাত হোসেন চয়নের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের কথাও চলছিল। কিন্তু ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বিয়েতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। এরই জের ধরে গত বুধবার তাকে নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই। সোমবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়েছে। আটকরা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদেরকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available