মোঃ মাইনুল হক, নীলফামারী প্রতিনিধি: আমনের চাষ নিয়ে কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কৃষকদের। ভরা মৌসুমে লোডশেডিং ও বৃষ্টি না হওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা। ফলে আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পরেছেন উপজেলার চাষিরা। এখন সেচের পানি একমাত্র ভরসা তাদের।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির মৌসুমে প্রচণ্ড তাপদাহে শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে উপজেলার ফসলের মাঠগুলো। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন চাষীরা। সেচ দিয়ে খেত বাঁচিয়ে রাখার চেষ্ঠা করছেন তারা। ফলে এ বছর বেড়ে যাবে উৎপাদন খরচ।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাইল এলাকার কৃষক জয়নাল জানান, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার পাশাপাশি সেচ, সার, তেল ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের উৎপাদনের খরচ বাড়বে। এ বছর আমন চাষে বিঘা প্রতি বাড়তি খরচ হবে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, এখন বেশির ভাগ কৃষক আমন চারা তৈরি করছে। তবে খড়া যদি চলতে থাকে, তাহলে সেচ মালিকদের সঙ্গে বসে সেচ পানির খরচ কমানোর চেষ্টা করবো।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমতা শাহা বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা এলাকায় চলতি মৌসূমে আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮,২০০ হেক্টর জমি। গত ২৮ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত রোপন করা হয়েছে ৩,৩৫০ হেক্টর জমি। আমনের চারা রোপনে উপযুক্ত সময় আষাঢ়ের ১৫ তারিখ থেকে শ্রাবণের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ক্ষেতে আগাছা ও পোকার আক্রমণ বেড়ে যাবে। এতে ভালো ফলন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি না হওয়া, সেচ, সার, কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির কারণে লোকসানের আশংকায় কৃষকরা ধান চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল আবাদে ঝুঁকছেন চাষী।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available