মোহাম্মদ শফিক, জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার): টেকনাফের নীলার জামেয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের এক ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করেছে মাদ্রাসাটির ভাইস প্রিন্সিপাল আলী আহমদের ছেলে এরফান উল্লাহ। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ ঘটা ঘটে। শুক্রবার বিকালে ওই মাদরাসা টির ক্যাম্পাসের ভিতরে ভবনের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এরফান উল্লাহকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।
এরফান এবং ভিকটিম মোছা. ফারিহা খানম জেরিন একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও দুঃসম্পর্কের মামা-ভাগ্নী। নিহত জেরিন হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছনা উল্লাহর মেয়ে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভিকটিম জেরিন বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি দোকানে গেলে অভিযুক্ত এরফান খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার বাবার অফিস কক্ষে নিয়ে যায় এবং দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেধে তাকে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এরফান দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিহিত কাপড়-চোপড় পলিথিনে করে এরফানের বাসার পার্শ্বে একটি নালায় লুকিয়ে ফেলে। পরে গভীর রাতে মরদেহটি গুমের উদ্দেশ্যে উক্ত মাদ্রাসার পিছনে একটি নর্দমায় ফেলে চলে আসে।
গ্রেফতারের পর ধর্ষণ ও হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে র্যাবকে এফরান জানায়, সে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।
এই নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available