নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক প্রেমিকা ৪ দিন ধরে অনশনে করছেন। ২৮ জুলাই শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের পূর্বকামদেবপুর গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে তিনি অনশনে আছেন।
অনশনরত প্রেমিকার বাড়ি একই উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে। সে ওই এলাকার হারুন অর রশিদ খান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমিক সজিব তালুকদার পূর্বকামদেবপুর গ্রামের আলী তালুকদারের ছোট ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় তালতলা বাজারে প্রেমিক সজিবের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দোকান রয়েছে। সেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে সজিব মেয়েটিকে কোট ম্যারেজের আশ্বাস দিয়ে বরিশাল নিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করায় নিরুপায় হয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মেয়েটি তার প্রেমিক সজিবের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। এ খবর জানতে পেয়ে প্রেমিক সজিব পালিয়েছে।
অনশনরত মেয়েটি বলেন, আমার ও সজিবের প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেছে। আমি নিরুপায় হয়ে সজিবের বাড়িতে অবস্থান করেছি। এখন সে আমাকে বিয়ে না করে ফিরিয়ে দিলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এলাকাবাসী জানান, মেয়েটি এখনও ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্থানীয় পর্যায়ে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
মেয়ের বড় ভাই আল আমিন হাওলাদার জানান, বিষয়টি অনেকেই জেনে গেছেন। আমাদের মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। এখন ছেলে মেয়ের বিয়ে ছাড়া আর কোন সমাধান নেই। দুই সপ্তাহ আগে আমার বাবা মারা গেছে। আমাদের মনের অবস্থা এমনিতেই খুব খারাপ।
সজিবের বাবা আলী হোসেন তালুকদার বলেন, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে আমার বাড়িতে এসেছে। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যে সিদ্ধান্ত নিবে, আমি তা মেনে নেবো।
এবিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available