পঞ্চগড় প্রতিনিধি: আগামী মাসে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় চেম্বারের হলরুমে ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ‘অনলাইন টি অকশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ব্রোকার হাউজসমূহের উদ্যোগে স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হান্নান শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন, মহানন্দা ব্রোকার হাউজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম এ শাহীন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বক্তব্য দেন।
দুই দিনের প্রশিক্ষণে অকশন সেন্টারে অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কীভাবে চা বেচাকেনা করা হবে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। ব্রোকার হাউজ, ওয়্যার হাউজের মালিক, স্থানীয় বিডার এবং বায়াররা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন আইটি বিডি টেক অ্যাপসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদ বিন অপু ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই জেলায় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতেই এই নিলাম কেন্দ্রটি ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে এটি হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র।
গত বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই অঞ্চল। বৈশ্বিক মহামারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালে দেশের মোট উৎপাদনের ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন করেছে পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলো। শীর্ষে থেকে মোট উৎপাদনের ৮১ শতাংশ উৎপাদন করেছে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল। গত বছর জেলায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা। এবার দুই কোটি কেজি চা উৎপন্ন হবে বলে আশা করছেন চা সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান ৮ টি, অনিবন্ধিত ২০টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান সাত হাজার ৩৩৮টি, এর মধ্যে নিবন্ধিত এক হাজার ৩৬৮টিতে ১০ হাজার ২৪০ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে। ২০০৫ সালে প্রথম তেঁতুলিয়া টি কোম্পানী লিমিটেড চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করে। এরপর একে একে জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ২৬টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available