আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীর রাওঘা গ্রামে প্রভাবশালীদের কবল থেকে সরকারি খাল দখলমুক্ত করেছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন।
৬ আগস্ট রোববার বেলা ১২টায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল জাহের, আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু, বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফ উল হাসান আরিফ সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাওঘা ও উত্তর রাওঘা গ্রামের জে এল নং ২৫ এর ৩০২০ নং দাগে ১ একর ২৪ শতাংশ খালের মধ্যে প্রভাবশালী হবিবুর রহমান ও মাওলানা সুলতান আহমেদের দেয়া বাঁধ দুটি কেটে দিয়ে দখলমুক্ত করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালটি জনসাধারণের নৌকা চলাচলসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য ইউনিয়ন বোর্ড রক্ষিত বলে রেকর্ডে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী মো. হাবিবুর রহমান, মো. জালাল আকন ও মো. সুলতান খালে ২টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছিল। খালের পাড়ে বসবাসরত শতাধিক পরিবারকে তারা খালের পানি ব্যবহার করতেও দিচ্ছে না। এমনকি গরু, মহিষকে পানি পান করাতে বা থালা বাসন ধোয়ার কাজ করতেও দিচ্ছে না।
সম্প্রতি খালের পাড়ে বসবাসরতদের হাঁস খালে প্রবেশ করলে দখলকারীরা ধরে জবাই করে ভুড়ি ভোজ করে। বাধ্য হয়ে প্রভাবশালীদের দখল থেকে খালটি মুক্ত করে সাধারণ মানুষদের ব্যবহার করার দাবিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল রাহিমা বেগম, নাছিমা বেগম, জসিম উদ্দিন বাবুল মৃধা, নাইম ও জাহিদুলসহ শতাধিক ভুক্তভোগী।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে উপজেলা প্রশাসন ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৬ আগস্ট রোববার বেলা ১২টার সময় খালের মধ্যে দেয়া প্রভাবশালীদের বাঁধ কেটে দেন।
ভুক্তভোগী জসিম মৃধা ও বাবুল মৃধা বলেন, অ্যাডভোকেট আরিফ উল হাসান আরিফ আমাদের কৃষকদের পক্ষ থেকে খালের বাঁধ অপসারণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, গ্রামবাসী অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত পূর্বক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শতশত ভুক্তভোগী মানুষের উপস্থিতিতে খালের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available