নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকা কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নবাবগঞ্জের মো. শেখ মিলন (৪০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
৭ আগস্ট সোমবার রাত ১১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিলনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী আসিফ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাজতি শেখ মিলন। এসময় কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি নং ৩৮৮/২৩।
জানা গেছে, মৃত মিলন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের পাইকশা গ্রামের শানাল কসাইয়ের ছেলে।
তার মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখার পর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে ৮ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তার নিজ গ্রাম নবাবগঞ্জে মরদেহ নিয়ে আসা হয়৷
মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, মিলনকে স্থানীয় এক আইনজীবীর উপর হামলার ঘটনায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হাজতে পাঠিয়েছিল প্রভাবশালীরা। এদিকে মিলনের মৃত্যুর খবর শুনে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তবে, এ বিষয়ে ওই আইনজীবী চুড়াইন ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, মৃত মিলন আমার উপর হামলা করে। তাই আমার ভাই বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মৃত মিলনের মা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একটি হামলার ঘটনায় আসামি করে জেলে পাঠায় কিছু স্থানীয় দুষ্ট লোক। যারা মামলা দিয়ে আমার ছেলে মিলনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল, আমার ছেলের অকাল মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী, তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
মৃত মিলনের ছেলে সাদ্দাম (১৩) বলেন, আমার বাবাকে যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দিয়েছে তাদের বিচার করা হোক। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ায় কারণে কারাগারে অসুস্থ হয়ে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব, কে আমাদের লেখাপড়া ও খাবারের অর্থ যোগাবে?
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available