খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: প্রকৃতির প্রতি মমতা এবং বাঁচার তাগিদে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় ৫৮টি প্রাকৃতিক বন রক্ষা করে চলেছেন পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা। ফলে প্রতিটি ‘পাড়াবন’ এখনও শত প্রজাতির উদ্ভিদ, লতাগুল্ম, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণ-প্রকৃতির প্রাচুর্যতায় ভরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি রক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরত্বপূর্ণ বলছে সংশ্লিষ্টরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন উজাড় ও ধ্বংসের বিপরীতে খাগড়াছড়ির ৫৮টি ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) বা পাড়াবন সংরক্ষণ করছে পাড়াবাসী। এসব বনে গর্জন, গামার, সিভিট, লম্বু, তেলসুর, চাপালিশ, বন জলপাই, উড়ি আম, খুদে জাম, হরতকি, বহেরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ দেখা যায়। এসব ঘন অরণ্যে মায়া হরিণ, বনমোরগ, শূকর, ময়না, টিয়াসহ নানা প্রজাতির পাখিরও আনাগোনা আছে। বন রক্ষায় পাওয়ায় সুফল পাচ্ছে পাহাড়ের মানুষও। বন টিকে থাকায় পাহাড়ি ঝিরি-ছড়াতে পানির প্রবাহও স্বাভাবিক রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে পাড়াবাসীর চিরায়ত এই উদ্যোগের সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও যুক্ত হয়েছে। ২০২০ সালের ১ জুলাই ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস ওয়াটার শেড কো-ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টিভিটি (সিএইচটিডব্লিউসিএ) নামে প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পের কর্মীরা পাড়াবাসীদের যুক্ত করে বনের আশপাশের জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে এবং প্রকৃতিকে অক্ষুণ্ন রাখতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিএইচটিডব্লিউসিএ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন টিটন খীসা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও প্রকৃতি রক্ষায় পাড়াবনের গুরত্ব রয়েছে। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এর গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available