মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘দুর্নীতিবাজ, অদক্ষ ও স্বেচ্ছাচারী’ ডা. খায়রুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রুপান্তরিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
২০ আগস্ট রোববার সকালে মাটিরাঙ্গা বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিন রুবেল, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা সভাপতি মো. রবিউল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মাটিরাঙ্গা পৌর আহ্বায়ক ওসমান চিশতী, মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘মাটিরাঙ্গা আদর্শ উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যা আর অব্যস্থাপনায় জর্জরিত। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের অনেক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। শয্যা সংকট, ডাক্তারদের অবহেলাসহ নানা কারণে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়, ডা. খায়রুল আলমের নির্দেশে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের নামে হাসপাতালের ২১টি বৃক্ষ নিধনও করা হয়েছে। এখানকার বর্তমান চিত্র দেখলে মনে হবে হাসপাতালটি নিজেই যেন বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতি রোগে আক্রান্ত হয়ে ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছে। এছাড়া এ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অসধাচরণ, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। এসব কারণে হাসপাতালটি সম্পর্কে এলাকাবাসীর অভিযোগের অন্ত নেই।’
এছাড়া টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে ভর্তি। এতে রোগী ও চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন অসুস্থ হওয়ার উপক্রম হয়। এ কারণে গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার কথা থাকলেও পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হলেও কার্যক্রম চলছে ১০ শয্যায়। তাদের দাবি, হাসপাতালটি ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রুপান্তরিত করা এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ডা. খায়রুল আলমকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ও হাসপাতাল ঘেরাওয়ের মধ্য দিয়ে তাকে মাটিরাঙ্গা থেকে বিতাড়িত করা হবে।
মানববন্ধন শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজি চক্রবর্তীর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম হেলাল, সাবেক মাটিরাঙ্গা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হারুন মিয়াসহ বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available