শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৬৯নং বংশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলাকালীন মশার ওষুধ স্প্রে করায় ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে।
জানা যায়, স্কুল চলাকালীন সময়ে মশার ওষুধ স্প্রে করার কারণে, তীব্র গন্ধে ৬ শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তাদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, ৬৯নং বংশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইশিতা সাহা (৯), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ইশরাক হোসেন (১০), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয় (১০), তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রিমা (৯), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তৈয়েবা (১০), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া (১০)।
অসুস্থ ছাত্রছাত্রীরা বলেন, স্প্রে করার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। অভিভাবকরা বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে স্প্রে করাটা ঠিক হয়নি। একজন বাচ্চা মারা গেলে দায় কে নেবে? শিক্ষকদের উচিত ছিল স্কুল ছুটি হওয়ার পর স্প্রে করা।
শ্যামনগর শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, গ্যাসের গন্ধের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা এখন সুস্থ আছে, সবাই বাড়িতে চলে গেছে।
ফগার মেশিন ব্যবহারকারী মোহাম্মদ আলী বলেন, দুই মাস ধরে এই কার্যক্রম চলমান। এর আগে ১৪০টি স্কুলে স্প্রে করা হয়েছে। আজ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কয়কজন বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মদনমোহন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ক্রমে এ মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। স্প্রে করার ৩০ মিনিট পরে বাচ্চাদের ক্লাসে পাঠানো হয়। কিন্তু দেখা যায়, কিছুক্ষণ পরে কয়েক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্যামনগর হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসা করাই। তারা সবাই এখন সুস্থ আছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত শাহিন হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। বাচ্চারা এখন সুস্থ আছে। শিক্ষকদের কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না সেটা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available