নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় লম্পট স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে (২৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২২ আগস্ট মঙ্গলবার এ ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলা বাদী হয়ে সুধারাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ২০ আগস্ট রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার মো. মাসুদ (২৬) উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। মামলার অপর আসামি নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল (২৭)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের সিএনজি চালক হেলাল ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে ভিকটিমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে সে সিএনজি চালানো শেষে বাড়ি ফিরে আসে। তখন স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরের সামনের কক্ষের মাটিতে বিছানা পেতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময় তার স্বামী তাকে জানান, তার পক্ষে আর একা সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। একজন লোক আসবে তার সাথে তোমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। এমন কথা শুনে স্বামীর সাথে তার স্ত্রীর বাকবিতন্ডা শুরু হয়। স্বামীর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে তাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
মামলায় আরো বলা হয়েছে, রাত ১টার দিকে হেলাল তার স্ত্রীর কাপড় খুলে ফেলে এবং ওড়না দিয়ে আমার দুই হাত বেঁধে রাখে। এরপর ঘরের দরজা খুলে দিলে ধর্ষক মাসুদ ঘরে প্রবেশ করে। ওই সময় হেলাল তার স্ত্রীর হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে দুই হাত শক্ত করে ধরে মাসুদকে বলে তার সাথে যা ইচ্ছা তা করতে। এর পর স্বামী হেলালের সহায়তায় তার স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে মাসুদ। সকালে ভিকটিম ঘটনাটি পরিবারের সবাইকে জানান এবং থানায় মামলা করেন
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে। পরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available