নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় অটোরিকশা চালক গোলাম রাব্বানী (৩৫) হত্যা মামলায় ৪ দিন পর দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২৩ আগস্ট বুধবার ভোরে টাংগাইল থেকে র্যাব-৫ ও র্যাব-১৪ যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো, মান্দা থানার শ্রীরামপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে নাহিদ হোসেন (১৯) ও নওগাঁর পত্নীতলা থানার শিবপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে তুহিন (২০)।
চালক গোলাম রাব্বানী মান্দা থানার গনেশপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্বাস উদ্দন সরদারের ছেলে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক গোলাম রাব্বানী প্রতিদিনের মত গত ১৪ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন দুপুর ২টার পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জিগাতলা ব্র্যাক ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সকাল ১০টা ২ মিনিটে নিখোঁজ রাব্বানী তার অটোরিকশায় একই এলাকার নাহিদ ও তুহিনকে নিয়ে জেলার মহাদেবপুর থানার দিকে যাচ্ছিলেন। এর দুইদিন পর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর নাহিদ ও তুহিন গা ঢাকা দেয়। ১৭ আগস্ট ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন। পরদিন বিকেলে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সাগরইল বাজার সংলগ্ন গুনদইল খাড়ির ব্রিজ এলাকা থেকে গোলাম রাব্বানীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৫ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে টাংগাইলে অবস্থান নেয়- এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ ও র্যাব-১৪-এর যৌথ অভিযানে হত্যাকাণ্ডের মুল পরিকল্পনাকারী নাহিদ ও তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available