গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: ধুমধাম করে চলছিলো বিয়ের আয়োজন। বাড়ি ভর্তি লোকজন গাইছিলো বিয়ের গীত। তবে এ বিয়েতে মত ছিলোনা কনে (স্কুলছাত্রী) নদী আক্তারের। ২২ আগস্ট মঙ্গলবার গায়ে হলুদের পর বুধবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সব আয়োজন যখন শেষ তখনই বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়।
গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট বাবলাতলা গ্রামে স্কুলছাত্রী নদীর পিতার বাড়িতে এ বাল্যবিয়ে বিরোধী অভিযানটি পরিচালনা করা হয় ২৩ আগস্ট বুধবার বেলা ১১টায়। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বর ও কনে পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা। এ সময় বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত থাকার দায়ে স্কুলছাত্রী নদীর নানীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাল্যবিয়ে না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
নদী জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছিলো সে। কিন্তু সম্প্রতি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবারের লোকজন তাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলো। বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও সে স্কুলে যেতে পারবে । এসময় নদী উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যাবাদ জানিয়েছেন তার বিয়ে বন্ধ করার জন্য।
স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা বেলী আক্তার জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পারি। পরে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সাথেসাথে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই এবং বিয়েটি বন্ধ করে দেই। সার্বিক অপরাধ বিবেচনায় ঐ ছাত্রীর নানীকে জরিমানা করা হয়। একইসাথে বাল্যবিবাহ দেবেনা মর্মে মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available