সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটায় স্লুইচগেট খুলে দেয়ায় দ্রুত পানি নিষ্কাশন হওয়ায় ১০০ হেক্টর জমির আমন চারা পচনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। জলাবদ্ধতার বিষয়ে মৌখিকভাবে সমিতির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হলে, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সুজালপুরে দীর্ঘ ৫ বছর বন্ধ থাকা, স্লুইচগেটের পাটাতন খুলে দেয়ায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার নালায় জমে থাকা আবর্জনা ও পানি নিষ্কাশন হওয়ায় ১০০ হেক্টর জমিতে সদ্য রোপণকৃত চারা বৃষ্টির পানি নিমজ্জিত হয়ে পচে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। কৃষকরা মনেই করেছিল এসব জমিতে আর আমন ধান চাষ হবে না । কারণ, স্লুইচগেটের রেগুলেটর দীর্ঘ দিন ধরে নষ্ট, তা সংস্কারও করা হয়নি।
এবার বড় বন্যা না থাকায় যে যেখানে একটু জমি পেয়েছে, সেখানেই আমন ধান চাষ করেছিলেন। হঠাৎ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ধানের চারা পানিতে নিমজ্জিত হয়। পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উদ্যোগে স্লুইচগেট রেগুলেটর খুলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। এতে শতাধিক কৃষকের চলতি মৌসুমে লাগানো আমন ধানের চারা পচে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, নালায় জমা পানির বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হলে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। আমরা কৃষকের ক্ষতির কথা চিন্তা করে শ্রমিক দিয়ে নালা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি।
ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম আহমেদ তুলিপ বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে রেগুলেটর মেরামত করা হলে আবাদি জমি বন্যা ও বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী নয়ন কুমার রায় বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে মৌখিকভাবে সমিতির পক্ষ থেকে বলেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা করব।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার সাদেকুজ্জামান বলেন, এবারে স্লুইচগেট খুলে দেয়ায় ১০০ হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন হওয়ায়, আমন চাষ সম্ভব হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available