জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) ছাত্রী হলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন একজন আইনজীবী।
২৭ আগস্ট রোববার বিষয়টি বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন হাইকোর্টের আইনজীবী তামজিদ হাসান।
হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বিচারক বলেন, পত্রিকা দেখে আমরা কোনও বিষয় শুনবো না, আপনি প্রয়োজনে এ বিষয়ে রিট আবেদন করতে পারেন। এসময় আইনজীবী তামজিদ হাসান বলেন, আমরা আগামীকাল র্যাগিংয়ের ঘটনা নিয়ে রিট আবেদন দায়ের করবো।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হলে ১ছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঐ ছাত্রীকে গভীর রাতে ২দফায় হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এসময় গালাগালের এক পর্যায়ে তাকে হুমকি দেয়া হয়। অন্যায়ভাবে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনটিও অনুমতি না নিয়ে তল্লাশি করা হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন ঐ ছাত্রী। এসময় তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২৩ আগস্ট বুধবার রাতে ছাত্রী হলের ৬০৬ নম্বর কক্ষে এ ন্যক্কারজনক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। হলে অবস্থান করা ডেন্টাল ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা রওশন ওরফে প্রভা, ৫০তম ব্যাচের নীলিমা হোসেন ওরফে জুঁইয়ের নেতৃত্বে এ র্যাগিং ও নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। তারা নিজেদের ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর উপর নির্যাতন চালান। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে শেবাচিমে সংগঠনটির কোনো অনুমোদিত কমিটি নেই।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available