নোয়াখালী প্রতিনিধি: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যারা অতীতে কিছু দিতে পারে নাই, তারা কোনো দিন দিতে পারবেও না। তারা করোনার সময় বলেছিল, ২ লক্ষ লোক না খেয়ে মারা যাবে। কিন্তু একজনও না খেয়ে মারা যায়নি। বরং রিলিপে রিলিপে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও বলেছিল দুর্ভিক্ষ হবে, কিন্তু হচ্ছে না। অতএব, তারা সব সময় মিথ্যা কথাই বলবে। সে দিকে কান না দিয়ে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নোয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা পাচ্ছেন বলে চাচ্ছেন। যে সরকারের কাছে পাওয়া যায়, সে সরকারের কাছে চাওয়া যায়। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে, আপনাদেরও কিছু কাজ আছে।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের শেখ হাসিনা সরকারকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। নোয়াখালী থেকে যদি ছয়টি আসন আপনারা উপহার দিতে পারেন, আর আমার নওগাঁ থেকে যদি ছয়টি আসন দিতে পারি। তাহলেই না আবার আমরা উন্নয়নটা চাইবো।
খাদ্য মজুদের প্রসঙ্গ টেনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ২১ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ রাখতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাকে ৩০ সালের মধ্যে ত্রিশ লাখের উপরে নিয়ে যেতে হবে। এটা হলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। খাদ্যের কোনো প্রকল্প দাখিল করলে উনি না করেন না। আমরা করতে পারব। আপনাদেরও তাকে রাখার ব্যবস্থাটা করতে হবে। সব দলাদলি ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে।
মন্ত্রী মিল মালিকদের লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের নতুন আইন হয়েছে, আইনটা যেমন সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই ভালো, আর অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই খারাপ। মওজুদের বিরুদ্ধে, বিপণনের বিরুদ্ধে, সরবরাহের বিরুদ্ধে, যাঁরা ক্যারি করবেন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবেন, ট্রাকে পরিবহন করবেন, সব বিষয়ে আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই মন্ত্রণালয় চালাতে গিয়ে মাঝে মাঝেই ধাক্কা খেয়েছি। চাউল আছে, মজুদ আছে, প্রচুর আছে, অথচ প্রতিদিন বাজারে দাম বাড়ছে। অনেক গ্রুপ এই ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছে। আমরা থামিনি। বড় বড় গ্রুপের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। মামলা চলমান আছে। তবে, আমি মামলার ভয় দেখাচ্ছি না। কেউ দয়া করে মজুদ করবেন না।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান ও জেলা নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available